গ্রামীণ অর্থনীতি বিকাশে কাজ করবে জয়তুন-একপে
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতি। কিন্তু এই অর্থনীতিকে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করার কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই। এ জন্য গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে ‘ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু’। এ ছা ড়া গ্রামাঞ্চলের মানুষেনু র মধ্যে ব্যাংকিং সম্পর্কে জ্ঞান কম। ব্যাংকিং সুবিধা সম্পর্কে না জানায় অনে কেরই ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। তাদের জন্য ব্যাংকিংয়ের সব সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠবে ‘ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু’। এখান থেকে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সেবা, সরকারি পরিষেবা বিল পরিশোধ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূর্ম সূচির আওতায় ভাতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত বিল পরিশোধ, টেলিমেডিসিন, ই-টিকিটিং ইত্যাদি সেবা বিশেষভাবে দেওয়া হবে। একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানিয়েছেন জয়তুন বিজনেস সল্যু শনসের চেয়ারম্যান মো. আরফান আলী। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দেশ রূপান্তরের নিজস্ব প্রতিবেদক এ জেড ভূঁইয়া আনাস।
দেশ রূপান্তর : আপনার গড়ে তোলা জয়তুন বিজনেসের কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাই?
আরফান আলী : নতুন প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে গ্রামী ণ অর্থনীতিকে ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য। ২০১৪ সালের জানুয়া নু রি থেকে শুরু হওয়া ‘এজেন্ট ব্যাংকিং’ ব্যাংকব্যবস্থায় একটি বড় রকমের পরিবর্তন তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা কিছুটা হলেও মানুষেনু র দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এখন প্রয়োজন হচ্ছে, পেমেন্ট সার্ভিসটিকে মানুষেনু র কাছে নিয়ে যাওয়া। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অনেক ব্যাংক এখন এগিয়ে যাচ্ছে। এটি একটি ভালো দিক। রেমিট্যান্স, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সেভিংসের ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল পাচ্ছে। গত বছর বাং লাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে সঞ্চয়ের হার বেড়েছে। এটি সম্ভব হচ্ছে এ ধরনের ফিন্যান্সিয়াল ইনফ্লুশনের প্রোগ্রামগুলো এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের বিস্তারের কারণে। গ্রামপর্যা য়ে ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট সেবাকে পৌঁ ছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইন্টার অপারেবল সিস্টেম। এ ছাড়া ট্রানজেকশনের জন্য একটি ব্যাংকের সঙ্গে অন্য ব্যাংককে যুক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ে এসেছে বাংলা কিউআর কোড। বাংলা কিউআরের সুবিধা যদি গ্রামে পৌঁছায়, তা হলেই গ্রামের লোকজন যেকোনো ব্যাংকের অ্যাপ, কার্ড বা মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে লেনদেন করতে পারবে। এ বিষয়টি বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে আমরা গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল বুথবু স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছি। প্রতি টি গ্রামে একটি ডিজিটাল বুথবু থাকবে। যে ডিজিটাল বুথেবু র মাধ্যমে সব ধরনের লেনদেন করা সম্ভব হবে।
দেশ রূপান্তর : আপনাদের মূলমূ লক্ষ্য কী এবং কত বছরের মধ্যে আপনাদের সেবা মানুষেনু র কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন?
আরফান আলী : ২০২৬ সালের মধ্যে সবার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটা আমরাই করব, এমন নয়। এটা সবাই মিলেই করবে। এটা সরকারেরও এজেন্ডা। আমরা এই এজেন্ডাকে বাস্তবায়নে মনেপ্রাণে চেষ্টা করব। এটি বাস্তবায়ন হলে আমাদের একটি তৃপ্তির জায়গা তৈরি হবে। এ জন্য আমাদের সময় নিতে হবে। আমাদের পাঁচ বছরের টার্গেটর্গে আছে। এর মধ্যে সবার জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করতে কাজ করব। সরকারের এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা আশা করি ৫০ শতাংশ অ্যাকাউন্ট আমাদের মা ধ্যমেই হবে; বিশেষ করে গ্রামীণ অঞ্চলে। গ্রামের দিকেই মানুষেনু র ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কম। তবে এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠার কারণে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
দেশ রূপান্তর : ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু কীভাবে কাজ করবে?
আরফান আলী : টেকনিক্যা লি একটি মোবাইল অ্যাপ, একটি পজ মেশিন অথবা কিউআর কোডের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যেতে পারে। এই মেশিনগুলো আসলে একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে সংযুক্ত করবে। পেমেন্ট সার্ভিসটাকে মূলতমূ ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছি আমরা। পরে ব্যাংকিং পার্টনার নিয়ে আমরা আমানত গ্রহণ ও ঋণ বিতরণের কাজ শুরু করব। অনেক ব্যাংক গ্রামে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করতে পারে না, আমরা সেই সব জায়গায় কাজ করব। এটি ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে পারবে। সুতরাং আমাদের বিশ্বাস যে ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু প্রতিটি গ্রামে গ্রাম উন্নয়নের কেন্দ্র হিসেবে ভূমিকা পালন করবে। গ্রামের একজন শিক্ষিত যুবক অথবা যুবতী এই ডিজিটাল বুথেবু র দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে ইনস্যু রেন্স, ই-কমার্স সার্ভিস এবং ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে কাজ করতে পারবেন। এতে নতুন করে কর্মসং র্ম স্থানের সৃষ্টি হবে।
দেশ রূপান্তর : এটুআইর সঙ্গে মিলে আপনারা ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু করার উদ্যোগ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে আর্থিক সেবাকে সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় পৌঁছে দিয়ে কী ধরনের কাজ করবেন?
আরফান আলী : জয়তুন এবং এটুআই মিলে ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু নিয়ে কাজ করব। এটুআইর প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ‘একপে’। সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে জয়তুন বিজনেস ডিজিটাল বুথবুগুলো তৈরি এবং শুরু করতে সাহায্য করবে। আর ব্যাংকিং সেবা, পেমেন্ট ও একপে যে কাজগুলো করে, সেগুলোর সমন্বয় করবে এটুআই। এক কথায়, যেকোনো ধরনের সরকারি পেমেন্ট এবং বিলগুলো একপের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। ভিলেজ ডিজিটাল বুথবু এগুলো সমন্বয় করবে। একপে এখনই প্রচলিত রয়েছে। ইউটিলিটি পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে কাজ করে একপে। এখানে একটি হচ্ছে টেকনোলজির পার্টনার আরেকটি অপারেশনের নলেজ পার্টনার। এতে করে দ্রুত মানুষেনু র কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে। সরকারের অর্থ আছে, প্ল্যাটফর্ম আছে। আর আমাদের ব্যাংকিং নলেজ আছে এবং ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে। এই দুইদুয়ের সমন্বয়ে গড়ে উঠবে ভিলেজ ডিজিটাল বুথ।
দেশ রূপান্তর : দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষনু সাধারণত শিক্ষাগত দিক থেকে পিছিয়ে। এ ক্ষেত্রে আপনাদের ডিজিটাল বুথবু কতটা কার্যকর হবে?
আরফান আলী : এটা সাধারণত মানুষেনু র অভ্যস্ততা তৈরির বিষয়। আজ যেমন ফিজিক্যাল টাকা, অর্থা ৎ প্রিন্টেড মানি রয়েছে, এটি সব সময় ছিল না। একসময়, স্বর্ণমুর্ণ দ্রা মু রোপ্যমুদ্রা মু ও কড়ি দিয়ে মানুষনু তাদের লেনদেন পরিচালনা করত। এখন তারা টাকার ব্যবহার করছে। আস্তে আস্তে মানুষনু ডিজিটাল মানিতেও অভ্যস্ত হবে। তখন নগদ টাকা না দিয়েও ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড বা মোবাইলের মাধ্য মে লেনদেন করবে তারা। এটা মানুষনুকে বোঝাতে হবে। এখন শহরে যারা চাকরিজীবী, তারা লেনদেনের ক্ষেত্রে সাধারণত ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কা র্ড বা মোবাইল অ্যাপস ব্যবহা র করে। এই অভ্যস্ততা একদিনে তৈরি হয়নি, বেশ সময়ে লেগেছে। তাদের এখন বুথেবু বা ব্যাংকের ব্রাঞ্চে যেতে হয় না খুব বেশি। আর তারাও নগদে খুব বেশি টাকা রাখে না। এট যেভাবে সম্ভব হয়েছে, গ্রামের বিষয়টিও সেভাবেই হবে। এটা মূলতমূ শিক্ষার বিষয় নয়, এটা অভ্যস্ততার বিষয়। আমাদের দেশে ডিজিটাল পেমেন্টের অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে এমএফএসের মাধ্যমে। এমএফএসের কারণে গ্রামাঞ্চলেও এখন অনেকেই ইলেকট্রনিক মানি ব্যবহারে অভ্যস্ত। সুবিধা পেলে সবাই এমনিতেই এটা ব্যবহার করবে; বিশেষ করে দোকানিদের নগদ টা কা ব্যবহার একটি বড় ধরনের সমস্যা। এই দোকানিরাই একসময় টাকা বহন করার কষ্ট থেকে বাঁচতে ডিজিটাল মানি ব্যবহার করা শুরু করবে। তখন তারা কাস্টমারের কাছ থেকেও ডিজিটাল মানি নিতে চাইবে। চায়নায় এখন দোকানিরা ডিজিটাল মানি ছাড়া লেনদেন করতে চায় না। এ কারণে দেশটির সরকারকে প্রজ্ঞাপন দিতে হয়েছে যে ফিজিক্যাল মানিও নিতে তারা বাধ্য। ওই দেশেও গ্রামাঞ্চলে ফিজিক্যাল মানির ব্যবহারের প্রবণতা বেশি। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, আগে মানুষেনু র কাছে সেবাগুলো পৌঁছে দেওয়া। আমরা যেটি চালু করছি, এটি একটি নতুন আইডিয়া। এ কাজটি ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম গড়ে তুলতে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখবে।
দেশ রূপান্তর : মানুষনুকে সচেতন করতে আপনাদের কোনো কার্যক্রম রয়েছে কি না?
আরফান আলী : ডি জিটাল বুথবু স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে আমরা মানুষনুকে এ সম্পর্কে সচেতন করতেও কাজ করব। এটাকে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি বলা হয়, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।র্ণ এখন মানুষনুকে এ-সম্পর্কে শিক্ষা দিতে জয়তুন কাজ করবে। এ ক্ষেত্রে মানুষেনু র ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়ে প্রথমে কাজ করতে হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে সবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করার কাজ চলছে। এ ক্ষেত্রে প্রায় নতুন ৬ লাখ মানুষনুকে ব্যাংকিং সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে। সবচেয়ে বেশি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে গ্রামাঞ্চলে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া কাউকে ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি দেওয়া সম্ভব নয়।
দেশ রূপান্তর : সাইবার হামলা রোধে আপনারা কতটুকু প্রস্তুত?
আরফান আলী : যত বেশি ডিজিটাল লেনদেন বাড়বে, তত সাইবার অপরাধ বা সাইবার সমস্যা বাড়বে। তবে এর সমাধানও রয়েছে। এমন কোনো সাইবার হামলা নেই যার প্রতিরোধব্যবস্থা তৈরি হয়নি। সুতরাং বাংলাদেশের যে অবকাঠামো আছে বা যা রা ব্যাংকিং সিস্টেমে বা পেমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত, তারাও আস্তে আস্তে সতর্ক হচ্ছে। আমাদের এই বিষয়ে জ্ঞা ন থাকতে হবে। আমাদের প্রটেকশন ব্য বস্থা থাকতে হবে। আমরা আমাদের ওয়ালেটকে যেভাবে নিরাপত্তা দিই, ঠিক একইভাবে ডিজিটাল মানি ব্যবহা রে নিরাপত্তা জরুরি। কেউ যাতে এটিকে মিস ইউজ না করতে পারে। সেই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়নও করতে হবে। নতুন যে ধরনের সাইবার হামলা হয়, সেগুলোর জন্য এখন আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। এগুলো প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের টুল পাওয়া যায়, সেগুলোর ব্যবহার আমাদের জানতে হবে।
দেশ রূপান্তর : কিছুদিন আগে চালু হওয়া দুটিদু অ্যাপের সিস্টেমে সমস্যা হওয়ায় নতুন করে আবা রও তার উন্নয়নকাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে আপনারা কতটুকু প্রস্তুত?
আরফান আলী : আমা দের সঙ্গে কাজ করবে এটুআইর একপে। এটা মার্কেটে দুইদু-তিন বছর থেকে কাজ করছে। এখন আমরা নতুন করে এটি মানুষেনু র কাছে পৌঁছে দিতে আউটলেট প্রতিষ্ঠায় কাজ করব। সে ক্ষেত্রে আমাদের তে মন কোনো বড় চ্যালেঞ্জ হবে বা সিস্টেমে তেমন কোনো সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। আমরা চালু থাকা অ্যাপকেই আরও জনপ্রিয় করতে কাজ করব। এটার মাধ্যমে যে সব ধরনের বিল পরিশোধ করা যায়, তা এখনো মানুষনু জানে না। এ ছাড়া ৬১টি ব্যাংককে ই-কেওয়াইসি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলার পদ্ধতি তো সবাই যুক্ত করতে পারে। এটার জন্য কোনো ইন্টা র অপারেবল সিস্টেমের প্রয়োজন হয় না। এখন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রচারণা দরকার। সিস্টেম এখন কার্যকর রয়েছে। সবকিছুই এখন প্রচলিত আছে। আর এখন কোনো কিছুই নতুন করে শুরু হবে না। আমরা সেফারেট পেমেন্ট সিস্টেম নিয়েই কাজ করছি। প্রচলিত সব অপারেটকে কাছাকাছি নিয়ে আসার জন্যই আমরা কাজ করছি। যাতে ডিজিটাল বুথেবু র মাধ্যমে ব্যাংকের সব সেবা এক সঙ্গে পাওয়া যায়। এটি হবে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের জন্য একটি আউটলেট। এককথায় ক্যাশ-ইন, ক্যাশ আউটের জায়গা।
দেশ রূপান্তর : আপনারা বলেছেন, ডিজিটাল বুথেবু র মাধ্য মে মানুষনু ঋণ নিতে পারবে। এটা কীভাবে বাস্তবায়ন করবেন?
আরফান আলী : ব্যাংকার হিসাবে যেটা দেখেছি, ঋণের দুটিদু সমস্যা হচ্ছে মনিটরিং ও ব্যবহার; অর্থা ৎ টাকা নিয়ে কোন খাতে দেওয়া হচ্ছে, সেটা। আর টাকা নেওয়ার পর এই টাকা ফেরত আসবে কি না, তার মনিটরিং করা। যেহেতু এই বুথবুগুলোতে কাজ করবেন ওই এলাকারই কোনো যুবক। সুতরাং তিনি তো বুঝবু তেই পারবেন, ওই গ্রামে কাকে ঋণ দেওয়া যাবে বা যাবে না; অর্থা ৎ ব্যাংকের প্রাথমিক কাজ তিনিই শেষ করে দেবেন। এরপর যে ব্যাংক কম্ফোর্টেবল ফিল করে সেই ব্যাংক গিয়ে ঋণ দেবে গ্রাহককে। এর মাধ্য মে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে মূলতমূ ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে। গ্রামে যে ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকা র্ম Ð পরিচালিত হয়, সেই কর্মকা র্ম ণ্ডকে জাতীয় অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত করার ক্ষেত্রে এই বুথবু কাজ করবে বলেও মনে করেন সাবেক এই ব্যাংকার। আরফান আলী বাংলাদেশে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। ব্যাংকগুলো যখন বড় গ্রাহকদের পেছনে ছুটেছে, তখন তিনি গেছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংক হিসাব খুলতে। ফলে ব্যাংক খাতে তার স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি হয়েছে । আরফান আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেন। এরপর ১৯৯১ সালে আরব-বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশনারি কর্মকর্ম র্তা হিসেবে কর্মজী র্ম বন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে কোরীয় হানিল ব্যাং কে (উরি ব্যাংক) যোগ দিয়ে ঢাকায় অফিস স্থাপনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৯ সালে ব্যাংক এশিয়া প্রতিষ্ঠার আগে তিনি ব্যাংকটিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালের আগস্টে তিনি ব্যাংক এশিয়ার এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিন বছর করে দুইদু মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে ব্যাংকার হিসেবে কর্মজী র্ম বনের ইতি টানেন তিনি।